এক রাতের ব্যবধানে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি না হলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
পেঁয়াজের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালে রাখতে আমদানির দাবি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের। শনিবার (৩ জুন) হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, গত শুক্রবার যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৭০ টাকা সেই পেঁয়াজ শনিবার (৩ জুন) সকালে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ আমদানি বন্ধের পর থেকেই দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা সাধারণ প্রায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ জানান, রমজান মাসে ৩০-৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। এরপর থেকে কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা হয়। কিন্তু রাতের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান, গত শুক্রবার ৭০ টাকায় বিক্রয় করছি। পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। মোকামে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারদের কাছে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকের কাছে তেমন পেঁয়াজ নেই।
এখন যা পেঁয়াজ আছে আড়ৎদারদের কাছে। পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, পাবনা মোকামেই শনিবার (৩ জুন) দেশীয় পেঁয়াজ ৩২০০০ টাকা মণ কিনেছি। মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেশি। সেখানে বেশি হলে নিয়ে আসার খরচ আছে এবং আমাদেরও ২/১ টাকা লাভ করতে হবে। শনিবার (৩ জুন) বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ শহিদুল ইসলাম জানান, দেশীয় কৃষকের উৎপাদিন পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৫ মার্চ থেকে সরকার পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয়। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আমদানি বন্ধের পর থেকে দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। সামনে কোরবানির ঈদ, চাহিদা বেড়ে যাবে। সরকারের উচিত খুব শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া। তা নাহলে দাম ডাবল সেঞ্চুরি করবে।
টিএইচ